যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কার্যালয়ে যারা বিভিন্ন কাজে গিয়ে থাকেন, নাগলিঙ্গম গাছটি তারা দেখে থাকবেন। এই বিরল ফুল নাগলিঙ্গম দৃষ্টি কাড়ে সবার।
ফুলটি গাছের কাণ্ড ফেটে বের হয়ে সারা কাণ্ড ছেয়ে ফেলে। নাগলিঙ্গমের ভিন্নতা হচ্ছে, এর ফলগুলো দেখতে সফেদার মতো, কিন্তু আকারে অনেক বড়। তবে ফলের কারণে নয়, নাগলিঙ্গম দৃষ্টি কাড়ে তার ফুলের সৌন্দর্য দিয়ে।
গাছের কাণ্ডজুড়ে পাকা সফেদা ফলের মতো বাদামি গোলাকার ফল। সঙ্গে পুরু পাপড়ির ফুল। সারা গায়ে বয়সের ছাপ। তবে ফুল ও ফলের দিকে তাকালে মনে হবে নবযৌবনা ফলবতী কোনো গাছ। আসলে এটি নাগলিঙ্গম ফুলের গাছ।
গোলাকার ফলগুলোকে ক্যানন ফলও বলে থাকেন অনেকে। যশোর শিক্ষা বোর্ডের কার্যালয়ের ভেতর এই বিরল নাগলিঙ্গমগাছে ঝুলছে ফলগুলো। ফলগুলোর আকার বড় বেলের মতো। গাছের গোড়ায় ফলের পরিমাণ বেশি। ফলগুলোর ফাঁক গলে সাপের মতো ফণা তুলে ফুলের ডগাগুলো বেরিয়ে আছে।
সুবিশাল ঐতিহ্যের বিরল প্রজাতির নাগলিঙ্গম গাছটির বয়স সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।