অল ক্রাইমস টিভি ডেস্ক
আমানত রাখলে দ্বিগুণ টাকা দেওয়ার কথা বলে প্রায় দেড় যুগ ধরে কুড়িগ্রামের ছয় শতাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলেছিল ‘আল হামীম (পাবলিক) লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পরে আমানতের টাকা ফেরত না দিয়েই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন এর উদ্যোক্তারা।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বলছে, কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকার ৬১১ জনের ৮০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রতারক চক্রের সদস্যরা। তাঁরা পাঁচ বছর থেকে বিভিন্ন মেয়াদে টাকা জমা রাখলে দ্বিগুণ অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা বলে এসব টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। একজন ভুক্তভোগী বাদী হয়ে গত বছর প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। সেই মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সিআইডির তদন্তে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৫ সালে আল হামীম (পাবলিক) লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠান খোলেন স্থানীয় আনিছুর রহমান (৩৬), রেজাউল করিম (৩৯) ও তাঁর ভাই এনামুল কবীর কহিনুর (৪৫)। এনামুলকে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক দেখিয়ে প্রতারণার উদ্দেশ্যে দ্বিগুণ অর্থ ফেরত দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ শুরু করেন তাঁরা। ১৮ বছর ধরে তাঁরা আমানত সংগ্রহ করেছেন। গ্রাহকেরা আমানতের টাকা ফেরত চাইলে টাকা ফেরত না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন।
মামলার বাদী উমর ফারুক বলেন, ‘আমি ১০ বছরে দেড় লাখ টাকা আমানত রেখেছিলাম। একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি কমিশন দেওয়ার কথা বলে আমাকে মাঠকর্মী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। আমার মাধ্যমে দুই শর বেশি লোক ওই প্রতিষ্ঠানে আমানত রেখেছেন। এখন তাঁরা টাকা ফেরত দিচ্ছেন না।’
উমর ফারুক বলেন, ২০১৭ সাল থেকে আমানতের টাকা ফেরত দিচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি। এর কর্মকর্তারা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কিছুদিন জেলে ছিলেন। জামিনে বেরিয়ে এসে ভিন্ন নামে তাঁরা প্রতিষ্ঠান চালু করার চেষ্টা করছেন।