মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল খোশনবীশের বিরুদ্বে অভিযোগের পাহাড়

শিক্ষকদের দিয়ে নিজের জুতো পড়ানোর ছবি ভাইরাল, কলেজে হাতিতে চড়তেন তিনি, সুন্দরী আয়াকে কু প্রস্তাবের অভিযোগ

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই পলাতক সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহর একান্ত আস্থাভাজন দাবীদার রাজধানীর মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের ‘বিতর্কিত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ

বিশেষ প্রতিবেদক

রাজধানীর মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের ‘বিতর্কিত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খোশনবীশের বিরুদ্বে তাঁরই কিছু সহকর্মী শিক্ষক-শিক্ষিকা,শিক্ষার্থী,অভিভাবক এবং এলাকাবাসীগণ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সঠিক তদন্ত দাবী করেছেন লিখিতভাবে।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই পলাতক সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহর একান্ত আস্থাভাজন দাবীদার প্রভাবশালী এই শিক্ষকের বিরুদ্বে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম,স্বেচ্ছাচারিতা,ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্য,জালিয়াতি ও নারী ঘটিত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তদন্তপুর্বক তাকে অপসারন ও বিচারের দাবীতে আন্দোলন চলছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

প্রায় ৭০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা তাঁদের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারমান, সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করলেও রহস্যজনক কারনে এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত কোন তদন্তই শুরু হয় নি।

উল্টো অভিযুক্ত মোস্তফা কামাল খোশনবীশ তাঁর ঘনিষ্টজনদের কাছে হুংকার দিয়ে বলছেন যে, ৫ কোটি টাকা খরচ হলেও আমি সবাইকে ম্যানেজ করবোই করবো। তারপরেও আমি অধ্যক্ষ হিসাবে এখানে না থাকতে পারলে,আগামী ১৩ বছরেও যাতে কেউ বেতন না পায়,সেই ব্যবস্থা করবো।

এদিকে আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে আওয়ামীলীগ পন্থী স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের ঢাকা উত্তর শাখার সভাপতি মোস্তফা কামাল খোশনবীশ আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকা,শিক্ষার্থী এবং অভিবাবকদের উপর আবারো হামলা করতে স্থানীয় কিছু অর্থলোভী রাজনৈতিক ও ছাত্রনেতাদের ভাড়া করেছে বলেও অভিযোগ আছে।

তাঁর এই চক্রের সাথে জড়িত কিছু কথিত সাংবাদিক আন্দোলনকারী এই শিক্ষকেকে ইয়াবাসেবী হিসাবে ভুয়া নিউজ করার হুমকি দিয়েছে দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের ইংগিতে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই আত্মগোপনে যাওয়া এই অধ্যক্ষ তাঁর লোকজন ও স্থানীয় সন্ত্রাসী নিয়ে সেপ্টেম্বর মাসের ২ তারিখে কলেজে প্রবেশের চেস্টা করলে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধে এবং কিছু শিক্ষার্থী আহত হয়। খবর পরে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী এসে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জমি দখল ও দুর্নীতিসহ বিভিন্ন গুরতর অভিযোগে পলাতক সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহর অবৈধ প্রভাবে তাঁর স্ত্রী ফরিদা ইলিয়াসকে মীরপুর বাংলা স্কুল এণ্ড কলেজে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান বানানো হয়। এরপর সাবেক সাংসদের স্ত্রী নিয়ম বহির্ভূত, পূর্বপরিকল্পিত ও পাতানো নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক হিসেবে মোস্তফা কামাল খোশনবীশকে নিয়োগ দেন ২০১৯ সালে । গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির একটি বিতর্কিত পরিপত্র জারির মাধ্যমে অবৈধ ভাবে অধ্যক্ষ হিসেবেও ২০২১ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ দায়িত্ব নেন পরবর্তীতে।

অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ পেয়েই ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নিয়োগ বানিজ্যসহ নানাবিধ অর্থনৈতিক অনিয়ম, জালিয়াতি ও নারী ঘটিত অনৈতিক কর্মকান্ডে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। তাঁর অনেক কর্মকান্ড ছিল প্রতিষ্ঠান বিরোধী এবং আত্মস্বার্থ সংশ্লিষ্ট,অভিযোগ তাঁরই সহকর্মীদের।

তিনি ‘স্বৈরাচারী কায়দায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিষ্ঠান থেকে এমপিও ধারি শিক্ষক খলিলুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করেন। তিনি এখনো তাজরিয়াসহ আরো অনেক শিক্ষক ও কর্মচারীকে চাকরিচ্যুতির হুমকি মধ্য রেখেছেন বলে লিখিত অভিযাগে এসেছে।

বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি কালো টাকার পাহাড় গড়েছেন এই মোস্তফা কামাল খোশনবীশ। গত ছয় বছরে টাঙ্গাইল শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুটি ছয় তলা বাড়ি, ঢাকা শহরে একাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক বনে গেছেন বলেও অভিযোগ। পাশাপাশি শেয়ার বাজারে এবং ডলার কেনাবেচায়ও তাঁর রয়েছে প্রচুর বিনিয়োগ।

তিনি পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিরপুর এলাকার একাধিক বেসরকারী স্কুল ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হয়েও অবৈধ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ‘নিয়ন্রক’ হয়ে ওঠেন। তিনি কয়েক কোটি কালো টাকার মালিক বলে তাঁর সহকর্মীদের অনেকের বিশ্বাস। তাঁর আয়কর রিটার্নের আয়-ব্যয় হিসেব ও প্রকৃত সম্পদের তদন্ত হলে সত্যতা মিলবে তারা দাবী করেছেন।

মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের জন্য বিতর্কিত জমি ক্রয় বাবদ ওয়ান বাংকের মীরপুর ১১ নং শাখা থেকে ২০১২ সালে উত্তোলনকৃত ১৬ কোটি টাকা ফেরত আনার জন্য কোন দৃশ্যমান ব্যবস্থা হয় গ্রহণ করেন নাই, অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ। তিনি প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির নির্বাচন না দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পছন্দ মতো সিলেকশনের মাধ্যমে দোকানদার, গরুর দালাল, চাটুকার এবং অযোগ্য শ্রেনীর লোকদের দিয়ে গভর্নিং বডি গঠন করেন। এরপর প্রতিষ্ঠানে অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার নৈরাজ্য গড়ে তোলেন।

অভ্যন্তরীণ অডিট পরিচালনা কমিটিতে কোনো শিক্ষকের অন্তর্ভুক্তি ছাড়াই ক্ষমতার অপপ্রয়োগ এবং চাপ তৈরি করে নিরীক্ষা ডকুমেন্টসহ অন্যান্য অনেক ক্রয় ভাউচারে দস্তখত দিতে বাধ্য করেছেন শিক্ষকদের। প্রতিষ্ঠানের দোকান ভাড়া ও বিভিন্ন স্থাবর-অস্হাবর সম্পদ থেকে অর্জিত অর্থ এবং টিউশন ফি সহ বিভিন্ন পরীক্ষা পরবর্তী কাগজ বিক্রির বিপুল অংকের টাকার লোপাট করেছেন বলেও দাবি করেছেন অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা।

আর এ সকল বিষয়ে বেশিরভাগ শিক্ষকগনকে রেখেছিলেন সম্পূর্ন অন্ধকারে। নিয়ম অনুযায়ী গর্ভনিং বডির সভা প্রতিষ্ঠানে হওয়ার বিধান থাকলেও একটি সভাও প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে কখনো করেন নাই। সব সভা করেছেন পলাতক সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহর ব্যাক্তিগত বাসায়।

তিনি স্বজনপ্রীতি এবং উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে বিধি বহির্ভূত ভাবে শিক্ষক ও কর্মচারীদের মাঝে বেতন বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন। শিক্ষাকে ব্যবসা পন্য বানিয়েছেন শুধু নিজের স্বার্থে। সরকারি বিধি মোতাবেক পরিচালিত এসএসসি এবং এইচএসসি শ্রেনীতে অতিরিক্ত পাঠদান হতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বাড়তি মানসিক শ্রমে চার বছর সময়ে উপার্জিত অর্থের প্রায় দুই কোটি টাকা একাই আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ এসেছে। শুধু তাই নয়,সদ্য চাকুরী থেকে বিদায় নেওয়া কয়েকজন শিক্ষকের পিএফএর সমুদয় প্রাপ্ত অর্থের অর্ধেক জালিয়াতি করে নিজের একাউন্টে ট্রান্সফার করে নেন।

তার দায়িত্ব পালনকালিন যে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা অবসর গ্রহণ করেছেন,তাদের অবসর পরবর্তী প্রাপ্য অর্থ প্রদানে গড়িমসি, ঘুষ গ্রহনসহ প্রাপ্যতার বিধি লঙ্ঘন করে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম করেন। পরিচ্ছন্নতা কর্মী গনেশের অবসর প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে ও অনিয়মের আভিযোগ আছে।

অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল খোশনবীশের প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় মিরপুর বাংলা স্কুল এণ্ড কলেজের নৈশ প্রহরী লিটন আত্মহত্যা করেছিল – এমন অভিযোগ লিটন পরিবারের। কলেজের আয়া মনিকাকে সে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু অধ্যক্ষের কুপ্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে নৈশ প্রহরী লিটনের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে মনি। তা দেখে ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে উঠে অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ। তাই তিনি আয়া মনিকে বাধ্য করে পা হতে স্যান্ডেল খুলে তা দিয়ে তাঁর প্রেমিক লিটনকে চল্লিশটি জুতার বাড়ি মারতে। এই ঘটনায় লজ্জায় লিটন আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের।

কিছু শিক্ষিকাদের দিয়ে বাসায় রান্না করে নিয়ে আসতে বাধ্য করতেন তিনি। আবার শিক্ষকদের দিয়ে পা’য়ের জুতা পরিয়ে নিতেন। তিনি তাদের অবৈধ সুবিধা দিতেন চাটুকারিতার পুরস্কার হিসাবে।

রাজধানীর মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের ‘বিতর্কিত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খোশনবীশকে জুতো পড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁরই কিছু সহকর্মী শিক্ষক

শিক্ষক ও কর্মচারীদের হতে নানান অজুহাতে চাঁদা উত্তোলন ছিল তার নৈমিত্তিক বিষয়। তাঁর জন্মদিন ১৬ই ডিসেম্বরে উদযাপনে সব শিক্ষকদের কাছে থেকে বাধ্যতামূলক চাঁদা নিয়ে বার্থডে পার্টি করতেন। ত্রিশ হাজার টাকা দামের পান্জাবি, দামী ব্রান্ডের হাত ঘড়ি,আই ফোনসহ দামি উপহার নিতেন চাঁদার টাকায়।

স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের ঢাকা উত্তরের সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়ে শিক্ষক দিবসে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনিকে সংবর্ধনা ও উপহার দিতেন। কলেজ গভর্নিং বডির সদস্যগনের সংবর্ধনা ও উপহার দিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত লাভবানের নিমিত্তে শিক্ষকদের কাছ হতে মাথাপিছু ২০০০/- টাকা হতে ১০,০০০/ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে বাধ্য করেন। এভাবেও অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

তাছাড়াও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সন্তানদের বিয়ের অনুষ্ঠানসহ বিভিন্নভাবে প্রভাব বলয় বাড়াতে তাদেরকে স্বর্ণের হারসহ বিভিন্ন দামী উপহার কেনার জন্য স্কুল এণ্ড কলেজের শিক্ষকদের থেকে বড় অংকের টাকা চাঁদা তুলে তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে মহিলা শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষকদের যেতে বাধ্য করতেন।

তার এহেন অন্যায়, আর্থিক অনিয়ম, নৈতিক অবক্ষয়সহ নারী কেলেঙ্কারি বিষয়ে শিক্ষার্থী, স্থানীয় জনতা এবং অভিভাবকদের অসন্তোষের মুখে গত ৫ আগষ্টের পট পরিবর্তনের পরপরই আত্মগোপনে যান। গত ২ সেপ্টেম্বর তিনি মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ।

তবে তিনি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তোপের মুখে পড়েন। সেনাবাহিনী ও পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাঁর বিষয়ে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে তাকে ক্যাম্পাসের বাহিরে বের করে দেয়ার সিদ্বান্ত হয় বলে জানা গেছে।

তিনি প্রতিষ্ঠানের আয়ন-ব্যায়ন শীটে সহকারী প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমানের আহ্বানে এসে শুধুমাত্র স্বাক্ষর করেই চলে যাবেন। কিন্তু তিনি তা পালনে গড়িমসি করেন। সেনাবাহিনী, পুলিশ, পল্লবী থানা শিক্ষা অফিসার ও শিক্ষক- শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীদের সামনে অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আতিকুর রহমান মিয়াকে সার্বিক সাময়িক দায়িত্ব পালনের লিখিত পত্র দেয়া হয়।

কিন্তু তিনি কোন সহযোগিতা না করে ফেরারী হয়ে নানাবিধ অপকর্মের লিপ্ত থেকে প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে শিক্ষা ও প্রশাসন কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন বলে অভিযোগ এসেছে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল খোশনবীশের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মীরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ লিখিত আবেদন করেছেন দূর্ণীতি দমন কমিশন, শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারমান ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে। কিন্তু অভিযুক্ত মোস্তফা কামাল খোশনবীশ সবাইকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছেন এবং তাঁর কিছুই হবে না বলে হুংকার মারছেন।

সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ এই প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, যারা অভিযোগ দিয়েছে তাঁরা বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে সমস্ত শিক্ষকদের আটকে জোর করে তাঁদের স্বাক্ষর নিয়েছে। তাঁর নামে বেনামে বিপুল পরিমান সম্পদ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন,তার নামে বাংলাদেশের কোথাও জমি,ফ্ল্যাট এবং গাড়ি নেই।

আমি বিধিবিধান মেনেই সমস্ত কাজ করেছি,তিনি আরো যোগ করেন।