হাবিবুল্লাহ মিজান,সম্পাদক, অল ক্রাইমস টিভি
বাংলাদেশ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শেখ নাজমুল আলম ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার চুড়ান্তভাবে উত্তীর্ন হয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত সব মেধাবী তরুনদের অভিনন্দন জানিয়েছেন আজ বুধবার।
নড়াইলের কাশিপুর ইউনিয়নের গন্ডব গ্রামের ঐতিহ্যবাহী শেখ পরিবারের সন্তান সিআইডি পুলিশের ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম তাঁর নিজের জন্মস্থান নড়াইল জেলা থেকে সুপারিশ প্রাপ্তদেরকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, নড়াইল জেলা থেকে সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্য অন্যতম হচ্ছেন এম এম জুলকার নাইন (পররাষ্ট্র),ইসমাইল হোসেন বাপ্পী (স্বাস্থ্য),সুব্রত নাগ (স্বাস্থ্য),মামুন মুন্না (প্রশাসন),সালাউদ্দীন কাদের (পুলিশ),অনুপ বিশ্বাস (সহকারীপ্ রকৌশলী),সালমান রহমান সৌরভ (শিক্ষা),জলি মেহজাবিন খান (শিক্ষা),সরদার মেহেদী হাসান (শিক্ষা),রিয়াজ (শিক্ষা),অভিজিৎ রাহা (শিক্ষা),এনামুল হক (শিক্ষা),মুনজির মঈন(শিক্ষা),এস কে মউ দোদুল হক শোভন (শিক্ষা),শ্যামল বসু (শিক্ষা) ও শাওন শেখ (অডিট)।
তিনি এডিসি ট্রাফিক মতিঝিল, ডিসি ট্রাফিক উত্তর, এসপি নেত্রকোনা, এসপি নারায়ণগঞ্জ, ডিসি মতিঝিল, ডিসি এস্টেট, ডিসি ডিবি, জয়েন্ট কমিশনার( ক্রাইম) হিসাবে সুনামের সাথে কাজ করে এখন ডিআইজি হিসাবে সিআইডিতে কর্মরত।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপ-কমিশনারের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় শেখ নাজমুল আলম বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) পদক পেয়েছেন। এর আগেও তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পদক পেয়েছিলেন।
ভালো কাজ ও ত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ এ পুলিশ কর্মকর্তা মোট তিনবার বিপিএম এবং দুইবার পিপিএম পদক পেয়েছেন। প্রতিবারই পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ নাজমুল আলমকে পদক পড়িয়ে দিয়েছিলেন।
২০১৮ সালে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিশনাল ডিআইজি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
২০১৯ সালে ২৪ শে অক্টোবর তিনি উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছিলেন।
উল্লেখ্য,১৯৯৮ সালে ১৭তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে কর্মজীবন শুরু করেন শেখ নাজমুল আলম। ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ডিএমপিতে যোগদান করে একই বছরের ১ জুন ডিবিতে দায়িত্ব পান। তার আগে নারায়ণগঞ্জ ও নেত্রকোনায় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সেও (এসএসএফ) দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ ছাড়াও কর্মজীবনের বিভিন্ন সময় তিনি ভোলা, পঞ্চগড়, সারদা পুলিশ একাডেমি ও মুন্সীগঞ্জ জেলায় চাকরি করেছেন।