ঘরোয়া চিকিৎসায় করোনামুক্ত হয়ে কাজে যোগ দিলেন র‌্যাব-৪  অধিনায়ক মোজাম্মেল হক

করোনামুক্ত হয়ে আমি আজ আবার করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছি

ঘরোয়া চিকিৎসায় করোনামুক্ত হয়ে কাজে যোগ দিলেন র‌্যাব-৪ অধিনায়ক মোজাম্মেল হক

হাবিবুল্লাহ্ মিজান,সম্পাদক,অল ক্রাইমস টিভি

র‌্যাব-৪ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক ঘরোয়া চিকিৎসায় করোনা জয় করে রাজধানীর প্রথম করোনা হটস্পট মিরপুরের টোলারবাগের পাশেই র‌্যাব-৪ প্রধান কার্যালয়ে আজ রবিবার কাজে যোগ দিয়েছেন।

তিনি নিজেই তাঁর ব্যাক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে কাজে যোগ দেয়ার তথ্য জানিয়েছেন।

তিন বলেন,“সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহে করোনা থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠার পরে আমি আজ আবার মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছি।”

তাঁর অসুস্থতার কঠিন সময়ে তাঁর ও তাঁর পরিবারের জন্য যারা সমর্থন দিয়েছেন এবং প্রার্থনা করেছেন,তাদের সবার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশও করেছেন তিনি।

এই করোনা যুদ্বের সম্মুখসারীর সাহসী যোদ্বা আশা প্রকাশ করেন যে, ধীরে ধীরে সকলেই এই মহামারী পরিস্থিতি জয় করতে পারবেন।  যারা করোনার বিরুদ্বে লড়াই করছেন,তাদের জন্য সবাইকে প্রার্থনা করার আহবানও জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য করোনা সনাক্তের মাত্র তিন দিনের মাথায় বিস্ময়করভাবে র‌্যাব-৪ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হকের প্রথম নমুনা পরীক্ষা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।

তার ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো তাঁর করোনা পরীক্ষা নিগেটিভ আসে। ৩১ শে মে শনিবার রাতে আবারো তাঁর তৃতীয় পরীক্ষার রেজাল্টও নিগেটিভ এসেছিল বলে সারাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয় এই সিনিয়র পুলিশ অফিসার অল ক্রাইমস টিভিকে জানিয়েছিলেন।

র‌্যাব-৪ অধিনায়কের এতো দ্রুততার সাথে করোনামুক্ত হওয়ার বিষয়ে তাঁর মেয়ে ডাক্তার সাদিয়া মৌমি তখন বলেছিলেন, “অবাক হচ্ছি অনেকেই বিশ্বাস করতে চাচ্ছেন না এত  তাড়াতাড়ি কিভাবে বাবার করোনা পরীক্ষা নেগেটিভ আসলো।”

তাদের জন্য এই তরুণ ডাক্তার আরো বলেছিলেন,“ করোনা হলেই উপসর্গ থাকবে এমন কোনো কথা নেই । বরং উপসর্গবিহীন অবস্থাতেই বেশী থাকে। বাবার হয়তো এইভাবেই বেশ কিছুদিন ছিলো। তারপর পরীক্ষা করার পর ধরা পরে। হয়তো পরীক্ষা না করলে ধরাও পরতো না । এভাবেই ভালো হয়ে যেত ।আর এরকম উপসর্গ না থাক

এর আগে ২১ শে মে তাঁর কোভিড -১৯ পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর থেকেই  তাঁর নিজ জেলা পাবনা, পূর্ববর্তী কর্মস্থল বগুড়া, নওগাঁ এবং জয়পুরহাটের হাজার হাজার মানুষ ফেসবুক কিংবা ফোনে তাকে সাহস জুগিয়েছিলেন। দেশের বাইরে থেকে অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশী তাঁর খোঁজ খবর নিয়েছেন। পাবনা, বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, রাজশাহী, রংপুরসহ অনেক জেলায় অসংখ্য মসজিদে জমাতুল বিদার দিন তাঁর আশু রোগ মুক্তি কামনার জন্য দোয়া হয়েছিল। হাজার হাজার শুভাকাংখি ফেসবুক টাইম লাইন, মেসেন্জার, এবং সেল ফোনে তাঁর সাথে যোগাযোগ করেছিলেন।