আবু বকর সিদ্দিক জসিম,মানিকগঞ্জ থেকে
মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের গালা গ্রামের এক বিধবা নারীর জমির ধান কেটে দিলেন মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম।
দেশে করোনা ভাইরাসের মহামারীতে দেশের কৃষক সমাজ যখন গভীর শ্রমিক সংকট, ঠিক সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ নাইমুর রহমান দুর্জয় এবং মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ প্রখ্যাত কন্ঠ শিল্পী মমতাজ বেগমের নির্দেশেনায় জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ধান কাটার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যের অনুপ্রেরণায় আজ শুক্রবার হরিরামপুর উপজেলায় গালা ইউনিয়নের মরহুম আব্দুল আজিজের বিধবা স্ত্রীর ৩০ শতাংশ জমির ধান কেটে দেয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম অল ক্রাইমস টিভিকে বলেন, হরিরামপুর উপজেলার গালা গ্রাম থেকে এক বিধবা মহিলা তাকে ফোন করে জানান যে, তাঁর জমির পাকা ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। তাঁর পরিবারে কোন পুরুষ লোক না থাকায় জমির ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না। এই জমির ধান দিয়েই তাঁর সারা বছর সংসার চলে।
ক্ষেতের ধান না কাঁটতে পারলে সারা বছর মানুষের ধারে ধারে ঘুরতে হবে । এমন সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে হরিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সবাই মিলে বিধবা মহিলার ৩০ শতাংশ জমির ধান কেঁটে দিয়ে এসেছি।
ছাত্রলীগ নেতা রাজিদুল ইসলাম আরো বলেন, আমরা বিধবা নারীর হাতে কিছু নগদ অর্থও তুলে দিয়েছি।
কৃষকের ধান কাঁটা কর্মসূচির বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী রাজু আহম্মেদ বুলবুল বলেন, ছাত্রলীগের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছাত্রলীগের নেতা- কর্মীরা কৃষকদের সাহায্য করার জন্য ধান কাটার কাজ করে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতেও এটি চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।
নিজের ক্ষেতের ধান ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কেটে দেয়ার পরে বিধবা মহিলা অল ক্রাইমস টিভিকে জানান,ধান কাটা নিয়ে আমি আসলেই খুব বিপদে পড়েছিলেন। ছাত্রলীগের ছেলেরা শুনে আমার সব ধান কেটে দিয়েছে এবং আমাকে নগদ অর্থ সাহায্যও করেছে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।