নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি, অল ক্রাইমস টিভি
ডাঃ ফেরদৌস খন্দকারকে নিয়ে এবার মুখ খুললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ ও আমেরিকা প্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক আরিফ নেওয়াজ ফরাজী বাদল।
কারো মিথ্যা এবং উস্কানিমূলক তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়ে তিনি তাঁর সাংবাদিক সহকর্মীদের নির্মোহ তদন্ত করে একাধিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার আহবান জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ফিন্যান্স বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়ে আরিফ নেওয়াজ ফরাজী বাদল বাংলাদেশের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজ এবং দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় সিনিয়র রিপোর্টার হিসাবে প্রায় দুইযুগ সাংবাদিকতা করেছেন।
বিএনপি-জামাতের মালিকানাধীন কুখ্যাত বিডি ফুডের মালিকদের ইংল্যান্ডে হিরোইন পাচার নিয়ে সর্ব প্রথম সিরিজ রিপোর্টগুলো করে সারা দেশে তোলপাড় তিনিই করেছিলেন। কোটি কোটি টাকার প্রলোভন এবং তাকে গুলি করে মেরে হত্যার হুমকি উপেক্ষা করেও সারাজীবন সৎ এবং সাহসী সাংবাদিকতা করছেন তিনি।
দা ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার প্রধান অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক থাকাকালীন অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকদের একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) ২০১৩ সালের বার্ষিক নির্বাচনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আরিফ নেওয়াজ ফরাজী বাদল বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সাংবাদিক আরিফ নেওয়াজ ফরাজী বাদল বর্তমানে ‘অল ক্রাইমস টিভি’ নামে বাংলাদেশে প্রথম অপরাধভিত্তিক একটি অনলাইন টিভির প্রধান সম্পাদক হিসাবে আমেরিকা থেকেই কাজ করছেন।
ছাত্র জীবনে শুরু থেকেই ছাত্রলীগ করা এই আরিফ নেওয়াজ ফরাজী বাদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও তুখোড় ছাত্র নেতা হিসাববে পরিচিত লাভ করেছিলেন। বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সাবেক প্রভাবশালী নেতা মোস্তফা মহসীন মন্টুর একান্ত অনুসারী সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আলোচিত ছাত্রনেতা মাসুম আহমদের ওরফে কোবরা মাসুমের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসাবে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সারা রাজধানী।
ছাত্র রাজনীতির কারনে হত্যাসহ একাধিক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার আসামী হয়ে আরিফ নেওয়াজ ফরাজী বাদল জেলেও ছিলেন দীর্ঘদিন।
যে জাতি দুঃসময়ে সেবা নিতে জানে না,সে জাতির ভবিষ্যৎ আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডাঃ ফেরদৌস খন্দকার করোনাকালীন দূর্যোগে নিউ ইয়র্কের বাঙালী কমিউনিটিতে ত্রান কর্তার ভূমিকা পালন করেন।
হাসপাতালগুলোতে যখন রোগীর স্থান সংকুলান হচ্ছিল না,বাঙালী রোগীদের বাসায় গিয়ে উনি সেবা দিয়েছেন। ডাঃ ফেরদৌস খন্দকার ফেসবুকে প্রতিদিন লাইভ প্রোগ্রাম করেছেন টেলিমেডিসিন সেবা দিতে।
নিউ ইয়র্কের অবস্থা কিছুটা ভালো। তাই সিদ্ধান্ত নেন দেশের জন্য কিছু করার। নিজের পকেটের টাকা খরচ করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে দেশে যান।
আমেরিকা প্রবাসী আরিফ নেওয়াজ ফরাজী বাদল গভীর হতাশার সুরে আরো বলেন,কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ডাঃ ফেরদৌস খন্দকারকে খুনী খন্দকার মোশতাকের ভাতিজা এবং খুনী রশীদের খালাতো ভাই হিসাবে নিউইয়র্কের জামাতের টাকায় লালিত এক শ্রেনীর মিডিয়া ব্যক্তিত্ব প্রচার চালায় বাংলাদেশের মিডিয়ায়।
অথচ ব্যক্তি জীবনে উনি ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতা ছিলেন। চট্টগ্রামে শিবিরের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসী সাংবাদিক আরিফ নেওয়াজ ফরাজী বাদল।
‘দেশের বিবেকবান সাংবাদিক ভাই বোনদের কাছে একান্ত আর্তি এটা নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করুন। সংকটকালীন সময়ে দেশকে সেবা পেতে সহায়তা করুন, আরিফ নেওয়াজ ফরাজী বাদল আরো যোগ করেন।