সাটুরিয়ার ইউএনও আশরাফুল আলম ঈদের রাতেও ঘুমাতে পারেনি যে কারনে

মানুষ গরু পালন করে সন্তানের মত যত্নে,বললেন সাটুরিয়ার ইউএনও

গরিব পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস দুইটি গরু রহস্যজনক আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার ঘটনা ঈদের রাতের ঘুম কেঁড়ে নিলো সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলমের

আবু বক্কর সিদ্দিক জসিম,সাটুরিয়া,মানিকগঞ্জঃদুই মাসের বেশি সময় ধরে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্বে সম্মুখসারীর যুদ্বে নেতৃত্ব দিতে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তাই ঈদের রাতে একটু চিন্তামুক্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ার চেস্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু সাটুরিয়ার দিঘলিয়া ইউনিয়নের একটি গরিব পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস দুইটি গরু রহস্যজনক আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ায় সেই রাতটাও নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারলেন না দেশে অন্যতম জনপ্রিয় এই তরুন ইউএনও।

দুর্নীতির বিরুদ্বে জিহাদ ঘোষণাকারী সাটুরিয়ার ইউএনও  আশরাফুল আলমের তাঁর লেখাটি সাটুরিয়া উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক একাউনন্টে পোস্ট করেছিলেন। লেখাটি নিম্নরূপঃ

সাটুরিয়ার দিঘলিয়া ইউনিয়নের একটি গরিব পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস দুইটি গরু রহস্যজনক আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ায় সেই রাতটাও নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারলেন না দেশে অন্যতম জনপ্রিয় তরুন ইউএনও আশরাফুল আলম

ঈদ-উল-ফিতর। শামীমা বেগম (৫০) তার সীমিত সামর্থ্যের আয়োজনে ঈদ পালন করেছে খুব সাদামাটাভাবে। তার স্বামীও ঢাকা থেকে আসতে পারেনি। রাতের খাবার শেষ করে তার অবলম্বন দুইটা গরু ঘরে তুলেছেন। গরুর যেন কষ্ট নাহয় এজন্য কয়েলও জ্বালিয়ে দিয়েছেন। সাটুরিয়ার মানুষ গরু পালন করে সন্তানের মত যত্নে।

নিরানন্দ ঈদ কাটিয়ে অনেকদিন পর একটা দিন একটু চিন্তামুক্ত কাটালাম। রাত্রে হয়ত বেশিই গভীর ঘুমে ছিলাম। দিঘলিয়া ইউনিয়নের একজন গ্রাম পুলিশের ফোনে ঘুম ভাংলো। জানলাম শামিমা বেগমের গরুর ঘরে আগুন লেগে দুইটা গরুই মারা গেছে। খুব মন খারাপ হলো। এখানকার মানুষের কাছে গরু কতটা মূল্যবান সেটা এতদিনে বুঝতে শিখেছি। সকালে যাব বলে ফোন রেখে দিলাম।

আয়ের উৎস দুটি গরু মরে যাওয়ায় চরম ক্ষতিগ্রস্ত শামিমা বেগমের বাড়িতে নিজে গিয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন

আজ সকালে শামিমা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখে আসলাম আমি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জনাব শাহরিয়ার মাহমুদ। একেবারেই নগণ্য তবু কিছু দিয়ে পাশে দাড়ানোর চেষ্টা। এরপরে আবেদনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক স্যারের নিকট হতে কিছুটা আর্থিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে বিদায় নিলাম।