নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
ঈদের আগেই প্রকাশিত হতে পারে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। এ জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি বাড়লেও অনলাইনে ফল প্রকাশ করা হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি সূত্র ১১ মে সন্ধ্যায় অল ক্রাইমস টিভিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গতকাল ১০ মে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড পরিদর্শনে যান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: মাহবুব হোসেন। তিনি ফল প্রকাশের অগ্রগতি জানতে চান। ঈদের আগেেই ফল প্রকাশ করা সম্ভব বলে সচিব জানানো হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক অল ক্রাইমস টিভিকে বলেন, চলতি মাসেই ফল প্রকাশের চেষ্টা করছি আমরা। ঈদের আগে না পরে তা বলা যাচ্ছে না। তবে ফল প্রকাশের কাজ চলছে। ওএমআর শিট স্ক্যানিং চলছে কিনা এমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কাজ করছি।
তিনি দৈনিক অল ক্রাইমস টিভিকে আরও বলেন, এ মাসেই ফল প্রকাশ করবো, আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। অনলাইনে ফল প্রকাশ করা হবে।
এদিকে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির একটি সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফল প্রকাশ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। ঈদের আগেই ফল প্রকাশ করা হতে পারে। কোনো কারনে দেরি হলে ঈদের ঠিক পরপরই ফল প্রকাশ করা হবে।
এদিকে ঢাকা বোর্ড সূত্র অল ক্রাইমস টিভিকে জানায়, কর্মকর্তারা ফল প্রস্তুত করতে তোড়জোড় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ফল প্রস্তুতের জন্য অনেকে বোর্ডে অবস্থান করছেন।
ফল প্রস্তুতে এগিয়ে রয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ড।
এদিকে করোনার বন্ধেও দাখিল পরীক্ষার ফল প্রকশের কাজ শুরু করেছে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়লে দাখিল পরীক্ষার খাতার ফল প্রস্তুত করার কাজ চলছে। ফল তৈরি করতে কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিসে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড সূত্র অল ক্রাইমস টিভিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র দৈনিক অল ক্রাইমস টিভিকে জানায়, দাখিল পরীক্ষার ফল প্রকাশের সব কাজ শেষ করতে বোর্ডের পরীক্ষা ও কম্পিউটারসহ সকল শাখার কর্মকর্তা কর্মচারীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বোর্ডে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ নির্দেশনা জারি করেছেন বোর্ড রেজিস্ট্রার।
পরীক্ষার পর ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ছুটির কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন।