নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ হামিদা আলী বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোনো সুযোগ নেই, খুললে সর্বনাশ হয়ে যাবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যাবে না। মঙ্গলবার (১২ মে) এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক এ অধ্যক্ষ আরও বলেন, আমরা কোনোভাবেই চাই না মহামারী আমাদের সন্তানদের ছুঁয়ে যাক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আয়োজন করলে আমরা শিক্ষক, অভিভাবকরা এর প্রতিবাদ করব। আমরা চাই না ছাত্র-ছাত্রীরা ঘরের বাইরে গিয়ে আক্রান্ত হোক। বর্তমানে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেভাবে অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে সেটি অব্যাহত থাকুক। কারণ কারও প্ররোচনায় পড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে ছাত্র-ছাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধিও মানবে না, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যাবে না তাদের মধ্যে। সরকার বারবার তাগাদা দিলেও প্রাপ্তবয়স্ক সাধারণ মানুষই তো স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। তাহলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কীভাবে এটা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে? তাই কোনোভাবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যাবে না। শুধু শুধু রোগী বাড়িয়ে লাভ নেই। মহামারীর এ পরিস্থিতিতে ডেকে এনে কোনো সংকট সৃষ্টি করা যাবে না।
তিনি বলেন, মহামারীর এ বিপদ এক দিন কাটবেই। তখন সিলেবাস সংকুচিত করে হোক, আর অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে হোক যে কোনোভাবে একাডেমিক পাঠ শেষ করা যাবে। জীবনের মায়া আগে করতে হবে। পড়াশোনার ক্ষতি ভবিষ্যতে পুষিয়ে নেওয়া যাবে। তাই যখন একটি করোনা রোগীও থাকবে না, বাতাসে করোনার জীবাণু থাকবে না, ঠিক তখন যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। এর আগে নয়। হামিদা আলী বলেন, সব শিক্ষার্থী আমাদের সন্তান, এটি আমাদের আগে বিবেচনা করতে হবে। তাই কারও জীবন সংকটে ফেলে শিক্ষা নয়। শহরের শিক্ষার্থীরা বর্তমান পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। কিন্তু গ্রামে এখনো অনলাইন ক্লাস সেভাবে নিশ্চিত করা পুরোপুরি সম্ভব হচ্ছে না। তাই করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে সংক্রমণ বন্ধ হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থীদের জন্য এক্সট্রা কেয়ার ক্লাসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় নানা পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।