নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজবাড়ী জেলার নতুন জেলা প্রশাসক হিসাবে মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা আজ সকালে যোগ দিচ্ছেন।
নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব জাহিদুল ইসলামকে এর আগে রাজবাড়ী জেলার ২৪ তম ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাহিদুল ইসলাম ১৯৭৯ সালের অক্টোবর মাসে টংগাইলের ভুয়াপুর উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা অগ্রণী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত ম্যানেজার মোহাম্মদ চাঁদ মিঞা, ১৯৭১ সালের বীরমুক্তিযোদ্বা এবং উপজেলার মুক্তযোদ্ধা কমাণ্ডার ছিলেন। মা জাহানারা সুলতানা ছিলেন আদর্শ সন্তান তৈরীর অন্যতম কারিগর। মা-বাবার তিন সন্তানের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম হচ্ছেন সবচেয়ে বড়।
ছাত্র জীবন থেকেই মেধার পরিচয় দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে থেকে আনার্স এবংমাস্টার্স সম্পন্ন করেন। একই সময়ে ঢকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনিষ্টটিউট থেকে প্রথম বিভাগ কৃতিত্বের সাথে রাশিয়ান ভাষায় ডিপ্লোমা অর্জন করেন।
পরবর্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বৃত্তির আওতায় আন্তর্জাতিক মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় কৃতিত্বের সাথে যুক্তরাজ্য থেকে এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন।
২০০৬ সালে ২৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সহকারি কমিশনার হিসেবে লালমনিরহাট জেলায় যোগদান করেন। জেলার এনডিসি হিসেবে দীর্ঘ সময় লালমনিরহাট ও পরবর্তিতে নীলফামারী জেলায় দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে গাইবান্ধা জেলার পলাশ বাড়ী ও মৌলভীবাজারের সদরে উপজেলায়ও দায়িত্ব পালন করেন।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে এবং নোয়াখালী জেলার চাটখিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(UNO) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কর্মদক্ষতার পুরস্কার হিসেবে কমলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার থাকাকালীন ২০১৫ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে পুরস্কৃত হন। পরবর্তিতে ১ বছরের জন্য শিক্ষা ছুটিতে যুক্তরাজ্যে গমন করেন। সেখান থেকে ফিরে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পরিসরে কাজ করেন। উক্ত সময়ে তিনি একাধিকবার তার দক্ষতার জন্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক পুরস্কৃত হন।
চাকুরী জীবনে দেশে ও বিদেশে বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ -কোরিয়া,ও জাপানে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন।
তিনি ২০০৮ সালে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক সচিব হেসাম উদ্দিন আহমদের একমাত্র কণ্যা হেমা জারিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী এই ছাত্রী স্বামীর ক্যারিয়ার গঠনে অনেক ত্যাগ স্বীকার সার্বিক সহযোগীতা করে আসছেন।
তাদের একমাত্র কন্যা জুনায়রা সাজ ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। সে ২০২৪ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত ৫৪ তম শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন।
জাহিদুল ইসলাম ব্যাক্তিজীবনে খুবই মিশুক এবং বন্ধুসুলভ । তিনি অবসর সময়ে বই পড়তে পছন্দ করেন। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তাঁর পছন্দের একটি বিষয়।