আল্লামা শফীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক


ডেস্ক রিপোর্ট; অল ক্রাইমস ডট টিভি:

হেফাজতে ইসলামের আমির বিশিষ্ট আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি  মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, আল্লামা শফী দেশে-বিদেশে ইসলামের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার মৃত্যুতে দেশ একজন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদকে হারালো।

রাষ্ট্রপতি মরহুম আল্লামা শফীর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দেশে ইসলামি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নেও ভূমিকা রেখেছেন।

প্রধানমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

আল্লামা শফীর জানাজা হাটহাজারীতে কাল দুপুর ২টায়
আল জামেয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসার সাবেক মহাপরিচালক আল্লামা আহমেদ শফীর জানাজা হাটহাজারী মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তিনি পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

শুক্রবার আহমদ শফীর ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এবং তিনি দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামের হাটহাজারীর মহাপরিচালক ছিলেন।

আহমদ শফী চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার পাখিয়ারটিলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম এবং ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসায় শিক্ষালাভ করেন। শফী আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন হেফাজতে ইসলাম।

এর আগে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর আহমদ শফীর পদত্যাগ এবং তার ছেলে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কারসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে দারুল উলুম হাটহাজারীর ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করে। দুপুর থেকে এ আন্দোলন শুরু হয়, রাত্রে আনাস মাদানীকে বহিষ্কার করা হয় এবং পরদিন আহমদ শফী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।

স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়ে সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য হাটহাজারী মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করে। ছাত্ররা সরকারের এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যায়, আহমদ শফী পদত্যাগ করলে আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়।