স্টাফ করেসপন্ডেন্ট;
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে গম ও ভুট্টার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের খাদ্য হিসাবে ভুট্টা ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। সেজন্য, গম ও ভুট্টার উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে। এ অ্যাপটি গম ও ভুট্টার উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে। গবেষণার মাধ্যমে উন্নত নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারে সহায়তা করবে।
মন্ত্রী রবিবার (২৩ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় দেশে গম ও ভুট্টার জাত, উৎপাদন, রোগবালাইসহ সব বিষয়ে প্রশ্ন-উত্তর সংবলিত মোবাইল অ্যাপ ‘গম ভুট্টা তথ্য ভাণ্ডার’ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট এন্ড্রোয়েডভিত্তিক এ অ্যাপটি তৈরি করেছে। অ্যাপটির মাধ্যমে কৃষক, গবেষক, সম্প্রসারণকর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ আগ্রহী যে কেউ বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বসে খুব সহজে গম ও ভুট্টা বিষয়ে তথ্য জানতে পারবেন। গম ও ভুট্টার জাত, জাতের বৈশিষ্ট্য, উৎপাদন, বীজ উৎপাদন প্রযুক্তি, রোগবালাই সম্পর্কিত তথ্যসহ গম ও ভুট্টা সম্পর্কে যেকোনো বিষয়ে প্রশ্ন করা ও উত্তর জানা যাবে। বর্তমানে গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে এ অ্যাপটি।
পরে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার সময় মন্ত্রী বলেন, কোভিড-নাইনটিন বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবনকে মহাসংকটে ফেলেছে। এই অবস্থায় খাদ্যের অভাবের কারণে মানুষকে যাতে আরেকটা মহাসংকটে পড়তে না হয়, সেজন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েও নিরলসভাবে কাজ অব্যাহত রেখেছে।
সততা ও নিষ্ঠার সাথে প্রকল্প বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নই শেষ কথা নয়, বরং যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল তার কতটুকু অর্জন হয়েছে তা মূল্যায়ন করা হবে। সেজন্য, প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতির সাথে সাথে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত প্রকল্পের প্রভাব সফলতা ও অর্জনও এখন থেকে তুলে ধরতে হবে।
সভা সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। এ সময় বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. এছরাইল হোসেন, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।