আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাষ্ট্রীয় তহবিল ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভলপমেন্ট রেবহাদের(ওয়ানএমডিবি) আর্থিক কেলেঙ্কারিতে সাতটি মামলায়ই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। যদিও নিজের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছেন তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক মোহাম্মদ নাজলান মোহাম্মদ গাজালি মঙ্গলবার নাজিব রাজাককে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার রায়ে তিনি বলেন, এই মামলার সব তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
কুয়ালালামপুরের হাইকোর্টের বিচারক মোহাম্মদ নাজলামন মোহাম্মদ গাজালি বলেন, বিচারের সব সাক্ষ্যপ্রমাণ বিবেচনার পর, আমি দেখেছি কৌঁসুলিরা সফলভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন যে এই মামলা যৌক্তিক সন্দেহের ঊর্ধ্বে।
মালয়েশিয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ নিয়ে বিচার হচ্ছে তা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ঘটনা। নাজিব রাজাক কমপক্ষে ৫৫০ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়ে তা অবৈধভাবে পাচার করেছেন। এই ঘটনা ঘটেছে ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে। তখন তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। প্রতিটি মামলার বিপরীতে বড় অংকের অর্থ জরিমানা ও ১৫ কিংবা ২০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান আছে। রায়ের সাজা ঘোষণা বিলম্ব করতে চাচ্ছেন নাজিবের আইনজীবীরা।
এ ব্যাপারে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোনো রায়ের বিরুদ্ধে তিনি ফেডারেল কোর্টে আবেদন করবেন।
রায় ঘোষণাকে সামনে রেখে শত শত সমর্থক এসে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আদালতে আসলে সমর্থকরা তার ‘দীর্ঘ জীবন’ কামনা করে স্লোগান দেন।
ফেস মাস্ক পরা নাজিব আদালতে ঢোকার সময় দলের শীর্ষ নেতারা তার চারপাশে ছিলেন।
নাজিবের আইনজীবীরা বলেন, মালয়েশীয় অর্থদাতা জো লো ও ওয়ানএমডিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা নাজিবকে ভুল পথে নিয়ে গেছেন। তাকে বলা হয়েছিল যে তার অ্যাকাউন্টে যে তহবিল জমা করা হয়েছে, তা সৌদি রাজপরিবার দান করেছে। এটা যে এসআরসি থেকে তসরুফ করা, তা তাকে বলা হয়নি। তবে জো লো এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।