দেশের চলমান উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে বাধাগ্রস্থ করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কুচক্রী মহল
বিশেষ প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেয়া বিভিন্ন মেগা প্রকল্পকে বাঁধাগ্রস্থ করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র চলছে। বড় পুকুরিয়া কয়লা প্রকল্প, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প যেভাবে বাঁধার মুখে পড়েছে সেভাবে “পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা কেটে দেয়া হচ্ছে” এরকম গুজবও ছড়িয়ে বাঁধাদানের চেষ্টা হয়েছিল।
গুজব ছড়ানোর পাশাপাশি সম্প্রতি আদালতকে মিথ্যা তথ্য দিয়েও উন্নয়ন প্রকল্প বাঁধাদানের নজির সৃষ্টি হল
এক্সিম ব্যাংক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্ট কর্নেল সিরাজুল ইসলামের কর্তৃক ১৯ মে দায়েরকৃত মামলার কারনে। যিনি এই মামলার ভিকটিম নন আশ্চর্যের বিষয় উনি উক্ত এলাকায় উপস্থিতও ছিলেন না। এমন একটি মিথ্যা মামলার দায়ের করার ফলে নির্মিতব্য মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল, মংলা বন্দর কন্টেইনার টার্মিনাল, মিরেরসরাইয় অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিদ্যুত উৎপাদন, হাসপাতাল, এয়ারএম্বুলেন্স সহ সিকদার গ্রুপের অসংখ্য প্রকল্প বাস্তবায়ন হুমকির মুখে পড়ল। এই করোনার সংকটে সিকদার গ্রুপ তাদের গুলশান হাসপাতালকে পুরোপুরি প্রস্তুত করে রোগিদের সেবা দিয়ে আসছিল। করোনায় কারনে কর্মহীন মানুষকে ত্রাণ দিয়ে আসছিল সেসব অবদান ম্লান হয়ে গেল।
উক্ত মামলায় মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে যে শিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক শিকদার এক্সিম ব্যাংক হতে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়েছেন! মামলার প্রাথমিক বিবরনীর সূত্র ধরে কিছু কিছু পত্রিকা বাংলাদেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান শিকদার গ্রুপের দুই কর্নধারের চরিত্র বিশ্লেষনে নেমে পরে।
প্রথমত আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে যে, রন হক সিকদার এক্সিম ব্যাংকে এমন কোন প্রকার ঋণের আবেদনই করেননি।
দ্বিতীয়ত, অভিযোগে যে ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার মাত্র ০৬ দিন পর এক্সিম ব্যাংকের পরিচালকরা তাদের ব্যাংক পরিচালনার সাহায্যার্থে সিকদার গ্রুপ পরিচালিত ন্যাশনাল ব্যাংক হতে ৫ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ঘটনা প্রবাহের তারিখগুললোও অনেক চমকপ্রদ। মে মাসের ৭ তারিখে কথিত “নিগৃহিত” হওয়ার পর ছয় দিনের মাথায় তারা ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা লোন নেন। তার ছয় দিন পর, ১৯ মে তারা মামলাটি করেন গুলশান থানা পুলিশের কাছে। এতোবড় একটা মামলা দায়েরের পরেও এ নিয়ে কোন হইচই হয়নি।
১৫ মে রন হক সিকদার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য সকল প্রকার প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাইল্যন্ডে যাবার আবেদন করেন। দশ দিন পর ২৫ মে উভয় সরকারের অনুমতি নিয়ে ভাই দিপু হক সিকদারসহ চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যাওয়ার পরদিন থেকেই কিছু কিছু মিডিয়ায় শোরগোল শুরু হয়ে যায়।
অবাক ব্যপার হচ্ছে যে মিডিয়া রন হক সিকদার এবং দিপু হক সিকদারকে হেয় করা নিয়ে এত ব্যস্ত যে, মামলাটির কোন সত্যতা আছে কিনা যেমন এক্সিম ব্যাংকে ৫০০ কোটি টাকা লোনের আবেদন করা হয়েছে কিনা কিংবা এক্সিম ব্যাংকের পরিচালকদের গুলশানে অবস্থিত প্রধান কার্যালয় হতে গাড়িতে তুলে নেবার কোন সিসিটিভি ফুটেজ আছে কিনা তা যাচাই করার সময় পায়নি ।
যে লোনের আবেদনের প্রকৃতপক্ষে কোন সত্যতা নাই, সেখানে দেশের দুইজন প্রথম সারির ব্যবসায়ীকে হেয় করার কেন এই হীন অপচেষ্টা?
লক্ষনীয় বিষয় মামলার ভয়ে যখন অধিকাংশ মানুষ পালিয়ে যাবার টেষ্টা করে সেখানে এই দুই ভাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে যখন আদালতে হাজির হতে চাচ্ছেন তখন আবারও নুতন ষড়যন্ত্র শুরু হয়। ন্যায় বিচার পাবার লক্ষ্যে চিকিৎসার পর স্বাস্থ্যের অবস্থা একটু উন্নতি হলে যখন তারা দেশে এসে আদালতে হাজির হবার সুযোগ চাচ্ছেন, তখন আবারও অপপ্রচার শুরু হলো।
বিশিষ্ট বীর মুক্তি যোদ্ধা জয়নুল হক সিকদার এবং সিকদার গ্রুপ শিক্ষাখাতে অবদান রাখার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে অবিচল। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রথম মহিলা মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজসহ বাংলাদেশে ১০০টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে অবদান রেখেছেন। প্রায় শতাধীক মসজিদ নির্মান করেছেন।
এই কারনে যা খোলা চোখে একটি সহজ মামলা – যা তারা বলছে কিছু বড় লোকের আইনের প্রতি অসম্মানের একটি নিদর্শন – আসলে এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্র। আর এটা হল দেশের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ করার ষড়যন্ত্র।