নিজস্ব প্রতিবেদক;
বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিমকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এর আগে ডিবির পুলিশ পরিদর্শক গাফফারুল আলম তাদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। উনি উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের হওয়া প্রতারণা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে মো. সাহেদকে আদালতে হাজির করা হয়।
বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এ সময় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর বেইলি ব্রিজের পাশে নর্দমার মধ্যে থেকে বোরকা পরা অবস্থায় সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় সাহেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। রাতে ওই কার্যালয়ের হাজতেই রাখা হয় তাকে।
গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।
পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পায়।
একদিন পর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়।
রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিলেন।