সেই মনির এবার চূড়ান্তভাবে করোনামুক্ত

মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার সাটুরিয়া ইউনিয়নের ধূল্যা গ্রামের আঃ গফুরের ছেলে মনির হোসেনে এখন করোনামুক্ত

আবু বকর সিদ্দিক, সাটুরিয়া থেকে

করোনা মুক্তির ডাক্তারী ছাড়পত্র পাওয়ার পরে আবারো করোনা পজিটিভ হওয়া মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া  উপজেলার সাটুরিয়া ইউনিয়নের ধূল্যা গ্রামের সেই যুবক এবার চূড়ান্তভাবে করোনামুক্ত হলেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাটুরিয়া ইউনিয়নের ধূল্যা গ্রামের আঃ গফুরের ছেলে মনির হোসেনের  সর্বশেষ জুলাই ১ তারিখে করোনা পরীক্ষার ফলাফল নিগেটিভ আসে।

মনিরের বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলার সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো : মামুন উর রশিদ জানান, সর্বশেষত করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার রেজাল্ট নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে।মনির এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।তাকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৩য় বারের মতো নমুনা দিলে জুলাই মাসের ১ তারিখে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে মনিরের।জুলাই মাসের ৪ তারিখে রিপোর্ট হাতে পায় মনির।

মনির মাধ্যমে এখন আর কেউ করোনা আক্রাক্ত হওয়ার বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নেই বলে জানা গেছে।

মনির করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় সরকারী নিয়ম মেনে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্হায় ১৪ দিন থাকে। স্হানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীরা তাকে ও তার পরিবারকে লকডাউনের আওতায় রাখে। সে সময় সাটুরিয়া উপজেলা প্রশাসন অসুস্থ মনিরকে আর্থিক ও খাদ্য সামগ্রী দিয়েও সাহায্য করেন। তাঁরা প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর রাখে।

মনির অল ক্রাইমস টিভিকে তখন জানিয়েছিলেন, করোনা ভাইরাসের তেমন কোন উপসর্গ না থাকায় ১৪ দিন ঘরে থাকার পর জুনের ২০ তারিখে দ্বিতীয় বারের মত সাটুরিয়া উপজেলা হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার নমুনা দিয়ে আসে। এর  আগের দিন এই রোগীকে করোনামুক্তির লিখিত ছাড়পত্র প্রদান করেন ডাক্তার। ছাড়পত্র হাতে পাওয়ার কয়েক দিন পর নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় বারের জন্য করোনা ভাইরাসের টেষ্টে পজিটিভ রিপোর্ট আসে মনিরের।

করোনামুক্তির ডাক্তারী ছাড়পত্র পাওয়ার পরে আবারো করোনা আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ অল ক্রাইমস টিভিতে প্রকাশিত হলে মানিকগঞ্জ জেলায় সমালোচনার ঝড় উঠে। ডাক্তারদের দায়িত্ব পালনে খামখেয়ালীর অভিযোগ উঠে।

এ বিষয়ে সাটুরিয়ায় করোনা ভাইরাসের হট লাইন সেবায় কর্মরত এক কর্মকর্তা তখন জানিয়েছিলেন, মনির ১৪ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজ বাড়িতে থাকার পর নিজে সুস্থ মনে করায় সে করোনায় আক্রান্ত আছে কিনা তা জানার জন্য  দ্বিতীয় পরীক্ষার  জন্য নমুনা দিয়ে যায়। তাকে রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত নিজ বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় বা্রও করোনা ভাইরাসের পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে মনিরের । পরে মুঠোফোনে হট লাইন থেকে জানিয়ে দেয়া হয় মনিরের দ্বিতীয় পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ এসেছে।

পুনরায় তাকে ১৪ দিনের জন্য নিজ বাড়িতে থাকার নিদের্শ দেওয়া হয়েছিল।

মনিরের বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলার সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো : মামুন উর রশিদ তখন বলেছিলেন, কিছু রোগী ১৪ দিন পরে,কিছু রোগী ২৮ দিন পরেও করোনা ভাইরাস পজেটিভ হতে পারে। ১৪ দিন অথবা ২৮ দিন পর রোগীর কোন উপসর্গ না দেখা দিলে আক্রান্ত ব্যক্তির দ্বারা করোনা ভাইরাস ছড়ায় না। করোনার উপসর্গ না থাকলে ১৪ দিন পর কিছু রোগীকে আমরা ছাড়পত্র দিয়ে থাকি।