সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অপ্রয়োজনীয় বরাদ্ব করোনা আক্রান্তদের দেয়ার প্রস্তাব করলেন সাংবাদিক অরূপ রায়

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অপ্রয়োজনীয় বরাদ্ব করোনা আক্রান্তদের দেয়ার প্রস্তাব করলেন সাংবাদিক অরূপ রায়

বিশেষ প্রতিবেদক, অল ক্রাইমস টিভি : করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুটিন মেরামত, স্লিপ ও প্রাক-প্রাথমিকের বরাদ্দ বাতিল করে আইসিইউ স্থাপন ও ভেন্টিলেটর যন্ত্র কেনার জন্য ব্যয় করার সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানিয়েছেন দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক অরূপ রায়।

তিনি গত শুক্রবার তাঁর ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্টের মাধ্যমে এই প্রস্তাব দেন।

স্থানীয়রা বলেন, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা সদরে রাধানগর গ্রামে পূর্বপুরুষদের দেওয়া জমিতে এলাকাবাসীর সহয়তায় ১৯৯০ সালে অরূপ রায় রাধানগর প্রাইমারী স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর থেকেই আশেপাশের গ্রামগুলোতে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে স্কুলটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আজ অবধি স্কুলের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মানিকগঞ্জের এই মেধাবী সাংবাদিক। পরবর্তীতে সরকারি করণ করা হলেও থেমে থাকেনি তাঁর কর্মকান্ড। স্কুলের দাতা হিসেবে স্কুলের নানা কর্মকান্ডের সঙ্গে তিনি জড়িয়ে আছেন।

অরূপ রায় বলেন, সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রুটিন ও বড় ধরনের মেরামতসহ প্রাক প্রাথমিক ও প্রয়োজনীয় আনুষাঙ্গিক কেনাকাটর জন্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা বরাদ্ব পেয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী স্বচ্ছতার সঙ্গে ওই টাকা খরচ করার পর প্রায় ৫০ হাজার টাকা উদ্বৃত্ত হয়, যা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা আছে। এবছর (২০১৯-২০ অর্থ বছর) আবার ১ লাখ ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রুটিন মেরামত বাবদ ৪০ হাজার, স্লিপের ৫০ হাজার, প্রাক-প্রাথমিকের ১০ হাজার এবং দুর্যোগের জন্য ৫ হাজার টাকা, যা এই বিদ্যালয়ের কোনো প্রয়োজন নেই।

মানিকগঞ্জ জেলার অন্যতম সাংবাদিক অরূপ আরো বলেন, গতবছর বরাদ্দ পাওয়া অনেক বিদ্যালয়েরই এধরনের বরাদ্দের প্রয়োজন ছিল না, এবছরও নেই। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গত বছরের বরাদ্দের অনেক অর্থ দুনীর্তির মাধ্যমে অপচয় হয়েছে, যা বিভাগীয় তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। আর এবার করোনার প্রভাবে বন্ধ থাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই অর্থ খরচ এমনিতেই অনিশ্চিত। তাই এবার দুর্যোগসহ রুটিন মেরামত, স্লিপ ও প্রাক-প্রাথমিকের জন্য দেওয়া বরাদ্দ বাতিল করে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসিইউ স্থাপন ও ভেন্টিলেটর যন্ত্র কেনার জন্য ব্যয় করলে মানুষ উপকৃত হবে।