লেঃ জেনারেল (অবঃ) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর বিরুদ্বে একাধিক নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ

বিয়ের পূর্বে তিনি তাঁর বর্তমান স্ত্রী এই মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে নিয়ে একই বাসায় অনৈতিকভাবে অবস্থান করেন

লেঃ জেনারেল (অবঃ) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর বিরুদ্বে একাধিক নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিবেদক

লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর আচরণ সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বিব্রতকর বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

রোববার রাতে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সারওয়ার্দীর আচরণ নিয়ে এমনটাই জানানো হয়েছে।

আইএসপিআরের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি হাসান সারওয়ার্দী বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সেনানিবাসে প্রবেশ এবং সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিথ্যাচার করেন, যা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তিনি লে. জেনারেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর এনডিসির কমান্ড্যান্ট থাকাবস্থায় একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি এনডিসিতে পরিচালিত বিভিন্ন কোর্সের সঙ্গে বিদেশে ভ্রমণকালেও অনেক নারীকে নিয়ে চলাফেরা করেন। বিভিন্ন মাধ্যমে তার এই অশোভনীয় আচরণ এবং মেলামেশার ছবি কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত হলে বিব্রত হয়। তাকে বিভিন্নভাবে উপদেশ দেওয়া হয়। তিনি এলপিআর-এ থাকাকালীন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন। সেনা আইন বর্হিভূতভাবে মেসকিট (সামরিক পোশাক) পরে ওই বছরের ২১ নভেম্বর অনুমতি ব্যতিত দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিয়ে করেন। কিন্তু তিনি বিয়ের আগে একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে নিয়ে ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর থেকে একই বাসায় অনৈতিকভাবে অবস্থান করেন। এমনকি তিনি বিয়ের আগে তাকে সঙ্গে নিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন, খাগড়াছড়িতে অবকাশ যাপন, বিভিন্ন সময় ভারত, থাইল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণ ও অবস্থান করেন। যার সচিত্র আলামত সামরিক ও অসামরিক পরিমন্ডলে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়।

আইএসপিআরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লে. জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর এ ধরনের আচরণ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য অস্বস্তিকর ও বিব্রতকর। এ ধরনের ঘটনা সেনাবাহিনীতে কর্মরত অফিসার এবং অন্যান্য পদবীর মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সামগ্রিক বিবেচনায় ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল হাসান সারওয়ার্দীকে সেনানিবাস ও সেনানিবাস আওতাভুক্ত এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।