বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ


কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর খন্ডক্ষেত্র গ্রামে দুর্বৃত্তরা নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। দুর্বৃত্তদের হামলায় ধর্ষিত ছাত্রীর পিতা ও মাতা গুরুত্বর আহত হয়েছেন। এ সময় স্বর্ণালঙ্কার ও এক লাখ ৬০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় দৃর্বৃত্তের দল। রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, গভীর রাতে ৪ জন দুর্বৃত্তের একটি দল ওই গ্রামের রেজা শাহ পাহলভি (৪৮) নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে প্রথমে তার মাথায় আঘাত করে। পরে তার  স্ত্রী পারভীন বেগমকে (৩৮) মারপিট করে তার স্বর্ণের চেইন ও গলারহারসহ স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাদের নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে পাশ্ববর্তি এলজিইডি খামারের পাশে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটিকেও মারধর করে গুরুতর আহত কর। আহত অবস্থায় মেয়েটি পাশ্ববর্তি এক বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে প্রতিবেশীরা তাকেসহ তার বাবা ও মাকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

রেজা শাহ জানান, তার  ও তার স্ত্রীর মোবাইলে প্রায় মেয়েকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মেসেজ আসতো। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

কুড়িগ্রামের সুপার মহিবুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন মঞ্জু, রাজারহাট উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পিসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

রাজারহাট থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পুলিশ দুর্বৃত্তদের ধরতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।