ডিআইজি শেখ নাজমুলের পরে এবার তাঁর স্ত্রী ছন্দা পারভীনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত

ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম ও তাঁর স্ত্রী ছন্দা পারভীনের দ্রুত রোগমুক্তি কামনায় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বাছট বৈলতলা মোকদমপাড়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার নির্মাণাধীন শান্তিভবনে বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন

সিআইডি পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শেখ নাজমুল আলমের পরে এবার তাঁর স্ত্রী ছন্দা পারভীনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।তবে তাঁদের দুই সন্তান শেখ ফারহান রাফিদ অয়ন এবং শেখ ফারহান তানজিম অর্ক করোনা পরীক্ষার ফলাফল নিগেটিভ এসেছে।

হাবিবুল্লাহ মিজান,উপদেষ্টা সম্পাদক, অল ক্রাইমস টিভি

সিআইডি পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শেখ নাজমুল আলমের পরে এবার তাঁর স্ত্রী ছন্দা পারভীনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র অল ক্রাইমস টিভিকে  আজ রাতে এটি নিশ্চিত করেছে।

ডিআইজি শেখ নাজমুলের পরিবারের একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র অল ক্রাইমস টিভিকে জানিয়েছেন যে,মঙ্গলবার তাঁর স্ত্রী ছন্দা পারভীন,দুই পুত্র– শেখ ফারহান রাফিদ অয়ন এবং শেখ ফারহান তানজিম অর্ক করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দিয়েছিলেন।

বুধবার পাওয়া পরীক্ষার ফলাফল থেকে জানা গেছে ডিআইজি শেখ নাজমুলের স্ত্রীও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে তাঁদের দুই সন্তান শেখ ফারহান রাফিদ অয়ন এবং শেখ ফারহান তানজিম অর্ক করোনা পরীক্ষার ফলাফল নিগেটিভ এসেছে। এই দম্পতি রাজধানীর মিরপুরের বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিচ্ছেন। এই বিষয়ে ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম কোন মন্তব্য করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি শুধু দেশবাসীর কাছে তাঁর এবং  তাঁর পরিবারের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
নড়াইলের কাশিপুর ইউনিয়নের গন্ডব গ্রামের ঐতিহ্যবাহী শেখ পরিবারের সন্তান সিআইডি পুলিশের ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম  সারাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয় মানবিক এবং স্বচ্ছ ইমেজের পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে।

এদিকে ডিআইজি শেখ নাজমুলে এবং তাঁর স্ত্রী ছন্দা পারভীনের দ্রুত রোগমুক্তি কামনায় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বাছট বৈলতলা মোকদমপাড়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার নির্মাণাধীন শান্তিভবনে শুক্রবার বাদ মাগরিব এক বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল।মাদ্রাসার মোহতামীম হাফেজ ক্বারী আব্দুর রহমান এই প্রতিবেদককে এটি নিশ্চিত করেছেন।

বিশেষ প্রার্থনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সাটুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বাছট বৈলতলা মোকদমপাড়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন পিন্টু,সহ-সভাপতি নরুল ইসলাম মুন্সি,আব্দুল গফুর হাবিলদার, ভারপ্রাপ্ত কোষাধক্ষ্য তোফাজ্জল হোসেন,বাছট বৈলতলা পল্লী মঙ্গল সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস,বাছট বৈলতলা মোকদমপাড়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার সহ-সভাপতি শামসুর রহমান পিন্টু,প্রকাশনা সম্পাদক হাজী রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক বজলুর রহমান,যুগ্ন সম্পাদক আমিনুল ইসলামসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ,যুবলীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

http://https://youtu.be/UHRncaZUaz4

আনোয়ার হোসেন পিন্টু তাঁর বক্ততায় বলেন,মানিকঞ্জের সন্তান না হয়ে  ঢাকা জেলা ও মানিকগঞ্জের দুঃস্থ মানুষদের জন্য ডিআইজি শেখ নাজমুলের মমতা কোনদিন ভুলাবার নয়।

প্রতি বছর এলাকার এই এলাকার শতশত দুঃস্থ মানুষদের ডিআইজি শেখ নাজমুলের শীত বস্ত্র এবং এতিম শিশুদের ঈদ পোশাক উপহার দেয়ার কথা উল্লেখ করে তিন আরো বলেন,আমি এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ডিআইজি এডিসি ট্রাফিক মতিঝিল, ডিসি ট্রাফিক উত্তর, এসপি নেত্রকোনা, এসপি নারায়ণগঞ্জ, ডিসি মতিঝিল, ডিসি এস্টেট, ডিসি ডিবি, জয়েন্ট কমিশনার( ক্রাইম) হিসাবে সুনামের সাথে কাজ করে এখন ডিআইজি হিসাবে সিআইডিতে কর্মরত।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপ-কমিশনারের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় শেখ নাজমুল আলম বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) পদক পেয়েছেন। এর আগেও তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পদক পেয়েছিলেন।
ভালো কাজ ও ত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ এ পুলিশ কর্মকর্তা মোট তিনবার বিপিএম এবং দুইবার পিপিএম পদক পেয়েছেন। প্রতিবারই পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ নাজমুল আলমকে পদক পড়িয়ে দিয়েছিলেন।
২০১৮ সালে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিশনাল ডিআইজি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

২০১৯ সালে ২৪ শে অক্টোবর তিনি উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছিলেন।
উল্লেখ্য,১৯৯৮ সালে ১৭তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে কর্মজীবন শুরু করেন শেখ নাজমুল আলম। ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ডিএমপিতে যোগদান করে একই বছরের ১ জুন ডিবিতে দায়িত্ব পান। তার আগে নারায়ণগঞ্জ ও নেত্রকোনায় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সেও (এসএসএফ) দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ ছাড়াও কর্মজীবনের বিভিন্ন সময় তিনি ভোলা, পঞ্চগড়, সারদা পুলিশ একাডেমি ও মুন্সীগঞ্জ জেলায় চাকরি করেছেন।