মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের পক্ষে সাটুরিয়ায় ভ্রাম্যমাণ বাজার

কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের নির্দেশনায় মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র লীগের সহ সম্পাদক ওমায়ের হোসেন রেড জোন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাজার পৌছে দিচ্ছেন।

আবু বক্কর সিদ্দিকি জসিম, মানিকগঞ্জ থেকে
কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের নির্দেশনায় মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র লীগের সহ সম্পাদক ওমায়ের হোসেন রেড জোন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাজার পৌছে দিচ্ছেন।
সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া এলাকায় রেড জোন থাকায় প্রশাসনের নির্দেশে সকল বাজার বন্ধ রয়েছে। তাই তাই মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র লীগের সার্বিক তত্তাবধানে ওমায়ের হোসেনের ব্যাক্তিগত অর্থায়নে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী নিয়ে ভ্রাম্যমাণ বাজার ছাত্র লীগের কর্মীদের নিয়ে ক্রয় মূল্যে বিক্রি করছেন।

কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের নির্দেশনায় মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র লীগের সহ সম্পাদক ওমায়ের হোসেন রেড জোন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাজার পৌছে দিচ্ছেন।

সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ- সম্পাদক ওমায়ের হোসেন তার ৫-৬ জন কর্মী নিয়ে একটি ভ্যানে বাজার নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। তিনি হ্যান্ড মাইক নিয়ে মানুষকে ঘর থেকে বাহিরে না আসার আহবান করছেন। এসময় বাড়ির ভিতর থেকে মানুষ রাস্তায় এসে তার ভ্রাম্যমাণ বাজার থেকে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার ক্রয় করছেন। তার ভ্রাম্যমাণ বাজারের তালিকায় দেখা যায়, চাল, ডাল, আটা, সকল সবজি, সাবানসহ বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী থরে থরে সাজানো।
মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ- সম্পাদক ওমায়ের হোসেন বলেন, এ ভ্যানে করে আমি বাজার নিয়ে বিভিন্ন গ্রামের ভিতরে চলে যাই। সেখান থেকে ক্রয় মূল্যে আমি সব বাজার বিক্রি করছি। তাছাড়া আমরা লিফলেট বিতরণ করছি। সেখানে আমারসহ আমার কর্মীদের মোবাইল নাম্বার দিয়েছি। ফোনের মাধ্যমে যে কোন বাজার অর্ডার করলে আমারা এক ঘন্টার মধ্যে গ্রাহকের বাড়ি পৌছে দিচ্ছি। এ কারনে আমারা কোন বাড়তি চার্জ নিচ্ছি না। আরো বলেন কোন কর্মহীন অসহায় মানুষ আমাদের নিকট মোবাইলে সাহায্য চাইলে আমরা ধানকোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সাথে আলোচনা করে বিনামূল্যে বাজার সরবরাহ করছি।
ছাত্র লীগের এ ভ্রামম্যাণ বাজারে সহায়তা করছেন ধানকোড়া ছাত্র লীগ নেতা সবুজ মাহমুদ, প্রসেনজীৎ সরকার, অজয় সরকার, হিদয় হোসেন, এস, এম আশিকসহ আরও অনেকে।
তার এ বাজার রেড জোন থাকা পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলবে।